সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আলাদা আলাদা করে তিন দফায় সমাবেশ হয়। ওই দিন সকাল ১০টা নাগাদ ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগ প্রথম সমাবেশ করে, তারপরে দ্বিতীয় সমাবেশ করে অর্থনীতি বিভাগ, আর সবশেষে শেষ সমাবেশটি হয় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষিকার সমাবেশের ব্যানারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে এই সমাবেশ করেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি সহ হামলা-মামলা এবং শতাধিক শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার চেয়ে এই সমাবেশ।
[ আরও পড়ুন: Gold Price: সোনার ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর পর সেপ্টেম্বরে সরকার এসজিবি প্রকল্প নিয়ে ভাবছে]
সমাবেশের পর তারা একটি মিছিল বার করে, সেই মিছিল শেষ হয় মিটি শহীদ মিনারে। আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের কর্মসূচিতে বলেন, এ সরকার হত্যাকাদের বিচার করবে না তার কারণ এ সরকার নিজেই খুনি। সরকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে খুনি বাহিনী-খুনি সংগঠনকে লেলিয়ে দিয়েছে। খুনি খুনির বিচার কিভাবে করবে। এখানে গণহত্যা করে গণহত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হয়। নিজেরাই গণহত্যা করে গণহত্যার শিকারদের ওই দোষে দোষী করে গ্রেপ্তার করছে সরকার। এই সরকারকে ধিক্কার।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ছাত্রদের নিরাপদে না রেখে আমরা শান্তিতে থাকতে পারব না। গুলি চালানো হয়েছে এদেশের বুকে। বাংলাদেশের হৃদয় হল এখাণকার তরুণ সমাজ, আর এই হৃদয়েই আঘাত হানবে সেটা আমরা চুপচাপ সয়ে যাব সাটা যেন ভুল করেও সরকার না ভাবে।দাবি উঠেছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সহ খুনের বিচার যদি না করতে পারে তাহলে এ সরকারকে অবশ্যই তাদের পদ ত্যাগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বলেন, এ আন্দোলনের জেরে আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাইকে এক সারিতে এনে হাজির করেছে।
এছাড়া ওই সকল কর্মসূচিতে বক্তব্য দিয়েছেন, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মাসুদা ইয়াসমীন, অধ্যাপক সেলিম রায়হান ও অধ্যাপক এম এম আকাশ। লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অধ্যাপক সাদিক হাসান সহ ওই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজনীন ইসলাম। এর সাথে ফিন্যান্স বিভাগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ সহ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।পপুলেশনস সায়েন্স-এর অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, আজ আমার শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরেছে প্রশাসন। কিছু বলতে দিচ্ছে না তাদের। মানবাধিকারের কথা বলি আমরা উন্নয়নেরও কথা বলে থাকি অথচ ক্রমাগত আমাদের মানবাধিকার লংঘিত করা হচ্ছে। আবু সাইদের বুকে অভাবে নিষ্ঠুরের মতো গুলি করে হত্যা করা হলো তাও পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সরকার, কিন্তু কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হল না।